ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তিক্ষয় হয়ে সাধারণে পরিণত হয়েছে। ভারতের উরিশ্যা থেকে ঝাড়খন্ডের দিকে সরে গিয়েছে। ঝাড়খন্ড যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতও ঘটিয়েছে ইয়াস।
বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খন্ডে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। গভীর নিম্নচাপ হয়ে এবার তা বিহার-উত্তর প্রদেশের দিকে সরবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
ইয়াস প্রভাব ফেলে পশ্চিমবঙ্গেও। বৃহস্পতিবার সারাদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষির আশঙ্কাও রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টি চলবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও জারি থাকবে।
মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পংসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
বাংলাদেশের পনের অঞ্চলের নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ ভোর ০৪ টা থেকে দুপুর ০১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘন্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরের জন্য এ সতর্ক সংকেত রয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অঞ্চলের উপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।