বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৩:১৬

এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : কবরিাজের বাড়ি থেকে অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর জন্য ‘তাবিজ’ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আর এই ঘটনা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ডুলপুষি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রতন চন্দ্র সরকারসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আজাদ মিয়া (৪৮), পাশের রংচাতি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আর্শাদ মিয়া (৩৫), বংশিকুন্ডা গ্রামের সায়েব আলীর ছেলে ইউনুস মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম(৩৫)। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বিষয়টি গোপন রেখে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে খবর পেয়ে ঘটনার পাঁচদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতেই ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গত রবিবার সন্ধ্যায় তার অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ পুত্রবধূর জন্য পাশের বাট্রা গ্রামের দ্বিনবন্ধু নামে এক কবিরাজের কাছ থেকে তাবিজ আনতে যান। পরে সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে তাবিজ নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে শিক্ষক রতন চন্দ্র সরকারসহ পাঁচজন মাদক সেবন করছিলেন। এসময় তারা ওই গৃহবধূকে একা দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে ওই ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে ওই গৃহবধূকে জোরপৃর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সেখান থেকে গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানান।
মামলার প্রধান আসামি শিক্ষক রতন চন্দ্র সরকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল চন্দ্র দেব থানায় মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শিক্ষক রতন চন্দ্র সরকারসহ পাঁচজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি গতকাল শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।