মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সকাল ৬:২৭

আসামিরা কাঠগড়া ভাঙচুর করলেন মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : সুলতান আহমেদের বাড়িতে রাতে একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত আর এই ঘটনা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের। মামলায় ৭ আসামির মধ্যে একজন খালাস ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ জনাব, আব্দুল মান্নান এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিরা কাঠগরা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত করে কারাগারে নিয়ে যায়।
মামলায় ৭ আসামির মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে জালাল গাজি পলাতক রয়েছে। অপর আসামি নাইনুল ইসলামকে খালাস দেয় আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এ্যাডভোকেট জনাব, আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট জনাব, আজিজুর রহমান দুলুসহ ৫ আইনজীবি।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে একদল মুখোসধারী গভীর রাতে প্রবেশ করে সুলতান মন্ডল তার নাতনী রোমানা, আনিকা ও স্ত্রী হাজেরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আসামি মমতাজ উদ্দিনের সাথে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য বাকী দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে।
রায় ঘোষণার পর নিহতদের স্বজন রফিক আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হোক।
পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জনাব, আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশীট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হল। এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাঠগড়া ভাঙচুরের ঘটনার মত ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধষ।