বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৩:৫৬

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : নেশার টাকার জন্য গ্যাসের চুলা বিক্রয়কালে বাধা দেওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পিয়ারা খাতুন প্রিয়া (২২) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিহতের স্বামী সজিব হোসেন (২৫) ও শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সজিব হোসেন ও স্ত্রী সাজেদা খাতুন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেরপুর শহরের দাড়কিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড়খালি গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে পিয়ারা খাতুন প্রিয়ার সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগে সজিব হোসেনের বিয়ে হয়। পেশায় কাঠমিস্ত্রি সজিব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই স্বামীর মাদক সেবনের বিষয়টি পছন্দ করেননি স্ত্রী প্রিয়া। এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। শনিবার সকালের দিকে মাদকদ্রব্য কেনার জন্য গ্যাসের চুলা বিক্রি করতে চান সজিব হোসেন। কিন্তু স্ত্রী তাকে চুলা বিক্রি করতে বাধা দেন। এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে পিয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য মৃতদেহ ঘরের ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সজিব ও তার পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে প্রিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত প্রিয়ার বাবা হোসেন আলী বাদী হয়ে শনিবার রাতেই ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সজিব হোসেন ও তার মা সাজেদা বেগমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে সজিব হোসেন। এই মামলায় সজিব ও তার মাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।