ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আর এই কারন দাবিকৃত দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় এবং হত্যা করার অভিযোগে স্বামী মোস্তফা গাজীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জনাব, মো. হাফিজুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামের মোতাহার গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলা সূত্র জানা যায়, ওই মামলার বাদী বরগুনা সদর উপজেলার জাকিরতবক গ্রামের মোতাহার বিশ্বাস ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে তালতলী থানায় অভিযোগ করেন। তার মেয়ে মোর্শেদা বেগমকে মোস্তফা গাজীর সঙ্গে ৯ বছর আগে বিয়ে দেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকে মোস্তফা গাজী ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বাদীর মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা হতে ভোর ৫টার মধ্যে মোর্শেদার শরীরের বিভিন্ন স্থানে (বুকে ও মুখে) আঘাত করে। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে।
বাদী মোতাহার বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনার আগে আমার মেয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুক দাবির মামলা করে। সেই মামলায় আপসের শর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে আবার আমার মেয়ের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। পরে মোস্তফা গাজী আমার মেয়ের লাশ তার ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ মার্চ আসামি মোস্তফা গাজীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাড. জনাব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মতো নয়। একবার যৌতুক চেয়ে নির্যাতন করেছে। আপসে জামিনে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঠাণ্ডা মাখায় স্ত্রী মোর্শেদাকে হত্যা করে। বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে।