ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : ডাকাতদের হামলায় গুরুতর আহত দু’জন যাত্রীর মৃত্যু, জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ছাদে এই ঘটনা এবং একজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার পর ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছেড়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের হামলায় মারা যাওয়া দু’জন যাত্রীর মধ্যে একজন হলেন- জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার মো. ওয়াহিদের ছেলে মো. নাহিদ (৪০) এবং মৃত অপরজন অজ্ঞাত (৪০) পরিচয়ের পুরুষ ব্যক্তি। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুবেল (২২) নামের অপর এক যাত্রী। তিনি জেলার ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের হীরু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ট্রেনের যাত্রী ফারুক নামের এক যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনের ছাদে ওঠে জামালপুরে আসছিলেন। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীদের অনেকেই ডাকাতদলের কবলে পড়েন।
৪/৫ জনের ডাকাত দলটি নাহিদসহ অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনসেট লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়। এরপর ট্রেনটি রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই যাত্রী ফারুক ও নাহিদসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে যান। তারা ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে।
এতে যাত্রী নাহিদ, রুবেল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন। রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছুলে গুরুতর আহত তিনযাত্রীকে ছাদ থেকে নামিয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ তাদেরকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তাদের মধ্যে নাহিদ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার মো. জাকিউল আলম খান। গুরুতর আহত অপরযাত্রী রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রেনযাত্রী রুবেলের ভাষ্য অনুযায়ী ট্রেনের ছাদে তারা ডাকাত দল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত দুই ব্যক্তির মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।