ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : এক শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা মামলার আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে আর এই ঘটনা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নে।
শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারে। সে সুমাইয়া নামের শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব, ইফতেখায়ের আলম।
নিহত ওই যুবকের নাম শামীম (২১)।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে ললিতনগর এলাকায় টহলের সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের উপর হামলা করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোনও নিহত শামীমের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নে একটি শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সে বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশে লাশ দেখতে পান।
জনাব, ইফতেখায়ের আলম বলেন, পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত।