ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বহু বিতর্কিত ঈশা গেস্ট হাউজ থেকে আবারও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন তরুণীকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন আর এই ঘটনা ফটিকছড়ি উপজেলার হেয়াকো বাজারের।
জানা যায়, ২৫ মার্চ গভীর রাতে দাতঁমারা এলাকায় আলী আক্কাস ভূট্টোর মালিকানাধীন ঔ গেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করে ফটিকছড়ি প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব, মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন।
তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক তরুণীদের ভূজপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ইউএনও জনাব, মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন আরো জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে বহু আগেই সিলগালা করে দেয়া এই গেস্ট হাউজে নারী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। অভিযোগ ছিলো গেস্ট হাউসটি সিলগালা করে দেওয়ার পরও পিছনের গ্রিল কেটে অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল গেস্ট হাউসটি।
অভিযোগ রয়েছে, রাতে গেস্ট হাউজটিতে জুয়া, মাদক এবং ফেন্সিডিল সেবনের আসর ও বসে। বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গত বছরের ৩০ জুন ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন গেস্ট হাউজ থেকে এক নারীকে আটক করে সিলগালা করে দেন প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে ‘ঈশা গেস্ট হাউজ’র সত্ত্বাধিকারী মোঃ আলী আক্কাছ মজুমদার (ভুট্টো) বলেন, ইউএনও সাহেব গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন তরুণীকে আটক করেছে আমিও শুনেছি। তবে গেস্ট হাউসটি আমি পরিচালনা করিনা। ভাড়াটিয়ারা চালান সুতরাং তারা বলতে পারবে কি হয়েছে না হয়েছে। আমি আর কিছু বলতে পারব না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাতঁমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আতাউল হক চৌধুরী বলেন, ঈষা গেস্ট হাউসে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা ছিলো। এসময় গেস্ট হাউসের লোকজন পালিয়ে গেলেও তিন তরুণী আটক হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ. আব্দুল্লাহ বলেন, ঈশা গেস্ট হাউজে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত এমন তিন তরুণীকে আটক করে থানায় সোপার্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আটক তিন নারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ চেষ্টা করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে।