ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দেশে ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে প্রথম ধাপে। আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (পরিচালক জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রথম ধাপের সব পৌরসভাতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের জন্য ভোটারের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছেন নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল প্রতীকসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মেয়র এবং সরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। উৎসবমুখর এ নির্বাচন নিয়ে যেমন রয়েছে উত্তেজনা, তেমনি শঙ্কাও রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। উদ্বিগ্ন খোদ নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। তবে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটের দিন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিক আপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি এবং হাইওয়ে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছে। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১ হাজার ১৬০ জন।
প্রথম ধাপের নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ পাঁচ দলের ৯৩ জন মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এবারে পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন।
এদিকে নির্বাচনি পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য টহল শুরু করেছে গত শনিবার থেকেই। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সবার প্রত্যাশা, আজ দেশের ২৪ পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। তবে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে ২৩টি পৌরসভায়। শুধু রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।
যে ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ :পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাঁটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জের মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, সুনাগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার তপশিল ঘোষণা করেছিল ইসি। কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।