ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : গত কয়েকদিন আগে দেশিয় বাজারে দু’ধাপে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এবং হুট করেই বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহে দু’ধাপে স্বর্ণের দাম কমে যাওয়া বাজারে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু হঠাৎ করেই ফের স্বর্ণের দাম বাড়তে যাচ্ছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নভেম্বরের শেষ দিকে এসে পতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণের দাম। এতে ২৫ নভেম্বর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫০৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেট ৭০ হাজার ৬৮৪, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৯৩৬ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পরও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সাড়ে ১৭শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে দেশের বাজারে আরও এক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস।
১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর থেকে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। এ দফায় ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার দিনই (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে আবার বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। দাম বাড়ার প্রবণতা চলে গত সপ্তাজুড়ে। এতে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮৩৭ দশমিক ৯৫ ডলারে ওঠে।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ার প্রবণতা চলতি সপ্তাহেও দেখা যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২৬ ডলার বেড়ে ১৮৬৪ ডলারে ওঠে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে ১৮৬৬ ডলারে উঠেছে।
বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা সব সময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করি। এ কারণে এক সপ্তাহে (২৫ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর) স্বর্ণের দাম দুবার কমানো হয়। এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের যে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাতে যে কোনো সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।