শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ৪:১০

মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : হাসি বেগম (১২) নামের এক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বাউফল থানা পুলিশ আর এই ঘটনা পটুয়াখালীর বাউফলের ৬ নং কনকদিয়া ইউনিয়নের জয়ঘোড়া গ্রামে অবস্থিত (বীরপাশা) বাজারে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) আনুমানিক ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসি জয়ঘোড়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে ও জয়ঘোড়া নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী দাখিলা মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। নজরুল ইসলামের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। হাসি ছিল তার তৃতীয় কন্যা সন্তান।
এক সাক্ষাৎকারে হাসির বোন খুশি প্রতিবেদককে জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি বোন হাসিকে ঘরের পূর্ব পাশে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করেন তার ডাক চিৎকার শুনে পাশের বাসার এক মহিলা আসে,পরে খুশির বাবা নজরুলও এসে দেখে তার মেয়ে আড়ার সাথে ঝুলন্ত। পরবর্তীতে বাউফল থানার পুলিশকে ফোন দিলে রাত ১১টার দিকে পুলিশ এসে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নজরুল ইসলামের স্ত্রী রুনু বেগম দীর্ঘ দিন যাবত জয়নাল গাজী নামে এক ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী সাথে তার সম্পর্ক ছিল এবং এক পর্যায় রুনু বেগম তার স্বামী নজরুল ইসলামকে ২১/০৫/২০২১ তারিখ কোটের মাধ্যমে একতর্ফা তালাক দিয়ে জয়নাল গাজীকে বিয়ে করেন। রুনু ও জয়নাল গাজীর সম্পর্কের ঘটনা অনেক আগ থেকেই বিরাজমান ছিল এবং বীরপাশা বাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা এ বিষয় অনেকবার শালিসিও করেছেন। তবে হাসি তার মায়ের এই কাহিনী মন থেকে মানতে পারেনি।
হাসির বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, জয়নাল গাজী দীর্ঘ দিন ধরে আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধভাবে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল, আমার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করেছে জয়নাল গাজী। এই অশান্তির জন্য আজকে আমার মেয়ের প্রান গেল এমনটাই দাবি করেন নজরুল ইসলাম।
এ বিষয় বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, আল-মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শনিবার সকালে হাসির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
“এম.সাইদুর রহমান সংবাদদাতা বাউফল”