বৃহস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৫৪

জরিমানা এবং জেল ৬ ভুয়া চিকিৎসকের।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দীর্ঘ বছর থেকে দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিভিন্ন ডিগ্রি ব্যবহার করতেন তারা। বারবার দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হলেও সুস্থ হতেন না রোগীরা। সুস্থ হতে দাঁতের চিকিৎসার জন্য না বুঝে এমন ভুয়া চিকিৎসকের কাছে আসা-যাওয়া করতে হতো রোগীদের। এভাবে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো। এমন ছয় ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাদের জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে চারজনের প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ আরো তিনজনকে দণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহারুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন শহরের কালিতলা মহল্লার তমিজ উদ্দিনের ছেলে ডেন্টাল কেয়ার হোমের তৌফিকুল ইসলাম তুহিন, কাঁচাবাজার এলাকার মধুসদন সাহার ছেলে শাহ ডেন্টাল কেয়ারের কৃষ্ণ কমল সাহা। এছাড়া খাস-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা ছহির উদ্দিনের ছেলে জান্নাত ডেন্টাল কেয়ারের শহীদুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ খানের ছেলে ওরাল ডেন্টাল কেয়ারের জাহাঙ্গীর আলম, লাটাপাড়া মহল্লার রশিধর ডেন্টাল কেয়ারের আশরাফুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন।
নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহারুল ইসলাম বলেন, বিডিএস ডিগ্রি নেই, এইচএসসি পাস করেই ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে দীর্ঘ বছর ধরে তারা দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। শুধু তাই নয়, অন্য ডেন্টিস্টদের বিডিএস সনদ রেজিস্ট্রেশন চুরি করে এতদিন তা নিজের বলে চালিয়ে আসছিল। মানুষের কাছে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা। এমনই কয়েকজন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তৌফিকুল ইসলাম তুহিন এর ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই মাসের জেল, কৃষ্ণ কমল সাহা ও জাহাঙ্গীর আলমের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, শহীদুল ইসলামের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আশরাফুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেনকে দুই মাস ১৫ দিন করে জেল দেওয়া হয়েছে।
এ সময় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌকির আহমেদ ও র‌্যাবের সদস্যরা এবং সিভিল সার্জন অফিস মেডিকেল অফিসার ডা. আশীষ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।