ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তা বিনামূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পন্ন হলে সরকার কর্তৃক একটি সনদ প্রদান করা হয় যা বিদেশগামী যাত্রীসহ অন্যান্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণে প্রয়োজন হয়। এ সময়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়াই টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন গ্রহণের ভুয়া সনদপত্র বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের সদস্য মোঃ ইমরান হোসেনকে (২৫) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
বুধবার র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (ইন্ট এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, এক শ্রেণির জালিয়াত চক্র করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত ভূয়া সনদপত্রের রমরমা ব্যবসা করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত ভূয়া সনদপত্র জালিয়াতি, প্রস্তুতকারী এবং বিক্রয়কারী চক্রের সদস্য মোঃ ইমরান হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ সময় আটককৃতের নিকট হতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের ১৫টি জাল সনদ, ১টি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট, ১টি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ১টি জাল জন্ম সনদপত্র ও জাল সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর, ১টি কি-বোর্ড, ১টি স্ক্যানার এবং ১টি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, আটককৃত ইমরান কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে জব্দকৃত যন্ত্রপাতি দ্বারা অবৈধ উপায়ে চাকুরি ও উচ্চশিক্ষার জন্য চাহিদামত দেশি-বিদেশি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট, জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, জাল জন্মসনদ ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জাল সনদ প্রস্তুত করে থাকে। এ ধরণের ১টি জাল সনদপত্র প্রস্তুতের জন্য সে ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সে সহস্রাধিক লোককে বিভিন্ন ধরনের জাল সনদপত্র সরবরাহ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।