ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর চেকপোস্টে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কঠোর নজরদারী দেখাগেছে।
আজ রবিবার (৪ জুলাই) নগরীর প্রবেশদ্বার দক্ষিনে কালিজিরা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট চেকপোস্টে এবং উত্তরে রামপট্টি চেকপোস্ট সহ সদর রোড,বাংলা বাজার,আমতলার মোড়,নথুল্লাবাদ, রুপাতলী সহ ৪০টির বেশি চেকপোস্টে কঠোর ভাবে পুলিশি নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় ডিবি পুলিশের এক সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে তার কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার মোটর সাইকেলটি আটক করা হয়। এছাড়াও অকারনে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে বিএমপি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে চেকপোস্ট গুলোর কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক জনাব, জাকির হোসেন মজুমদার। এসময় তিনি চেকপোস্টে দায়ীত্বরত সকল অফিসার ও ফোর্সদেরকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কঠোর অবস্থানে থেকে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা পালনে যে সিদ্ধান্ত এসেছে পুলিশ তা কঠোর ভাবে পালন করছে। এ সময় বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে জরিমানা করতে দেখাগেছে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক জনাব, মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার আরও বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ সকল চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকবে। এ সময় আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
এক্ষেত্রে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক সহ সকল যান্ত্রিক যানবাহন বিধি নিষেধ আরোপকালীন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, মানুষ নানা অযুহাতে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছে।যারা বিনা কারনে বাইরে বের হচ্ছে আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। আবার কাউকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন। স্বাস্থ্যবিধি বিধি মেনে নিজে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করে তুলুন।