ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তাতে ওই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় শেয়ারবাজারের লেনদেনও। এর মধ্যে বিএসইসির নেতৃত্বেও বদল আসে। জনাব, খায়রুল হোসেনের বিদায়ের পর বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাব, শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে লেনদেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় একটানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
গত জুলাইয়ের পর থেকে শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৪ হাজার থেকে বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
এরপর গত ৭ এপ্রিল প্রথম দফায় ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপর গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও নতুন করে নির্দেশনায় উত্থান-পতনের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে বিএসইসি। এতে বলা হয়, ২০০ টাকা পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে।