ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : লকডাউন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের জন্য। তবে গত বছরের তুলনায় অনেকটা শিথিলভাবে শুরু হয়েছে এবারের লকডাউন।
লকডাউনের মধ্যে মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকার কথা থাকলেও, ঢাকার রাস্তায় বাস না থাকলেও প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিক্সা চলতে দেখা গেছে।
সীমিত পরিসরে যেসব অফিস খোলা থাকবে, তাদের কর্মীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়ার কথা। কিন্তু সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় অনেক মানুষজনকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এমনকি গুলশান এলাকায় সরকারি বিআরটিসির বাস চলতেও দেখা গেছে।
দেশে করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রবিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ছয়টা থেকে থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২ টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবার মধ্যে- পণ্যপরিবহন, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টসসামগ্রী আওতাভুক্ত থাকবে।
এদিকে লকডাউনের খবর জানার পর থেকেই গত দু’দিনে রাজধানী ছাড়তে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। নিম্নবিত্তের মানুষ সপরিবারে বাসে ট্রেনে লঞ্চে করে ঢাকা ছেড়েছে লাখো মানুষ।
এ ছাড়া সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব, ওবায়দুল কাদের। এর আগে লকডাউনে জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের কথা জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী জনাব, নুরুল ইসলাম সুজন। গত বছরের মতোই লকডাউনে শুধু পণ্যবাহী মালগাড়ি চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে ঠিক যত দিনের জন্য লকডাউন জারি হবে, তত দিনই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে না।