ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : আশরাফ উদ্দীন (২০) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে পূর্ব শত্রুতার জেরে আর এই ঘটনা আনোয়ারায়।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার জয়কালী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফ উদ্দীন নোয়াখালী জেলার মাইজদী এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে। আশরাফ তার পরিবারের সঙ্গে আনোয়ারা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি দিলোয়ারা জাহান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলাব্রত বড়ুয়া বলেন, আনোয়ারা এলাকা থেকে ছুরিকাহত আশরাফকে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশরাফ দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তিনি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের অনুসারী বলে জানা গেছে।
আশরাফকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আসিফ বলেন, আশরাফের সঙ্গে আগে থেকে ঝামেলা ছিল নয়ন সরকারের। রাত ৯টার দিকে জয়কালি বাজারে আশরাফকে দেখেই ছুরিকাঘাত করেন নয়ন সরকার।
আসিফ জানান, নয়ন সরকার ও আশরাফ দুইজনই দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের অনুসারী। নয়ন এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে মানুষকে হয়রানি করেন। কিছুদিন আগে এ রকম একটি ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন আশরাফ। তারপর থেকে আশরাফের ওপর ক্ষেপে ছিলেন নয়ন।
এদিকে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন আশরাফের মা। এ সময় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আশরাফ হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন তার সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, নয়ন ও আসিফ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। একে কেন্দ্র করে রাতে আসিফ গ্রুপের আশরাফকে ছুরিকাঘাত করেন নয়ন। পরে আশরাফ হাসপাতালে মারা যান। নয়ন ও আসিফ দু’জনই দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের অনুসারী। ঘটনার পর পালিয়েছেন নয়ন। আমরা তাকে গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছি।