ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : ময়মনসিংহের মোনায়েম খান নিজেকে পরিচয় দেন তৎকালীন বিডিআরের হাবিলদার হিসেবে, কখনো সচিব, কখনো সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সেনাবাহিনীতে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে প্রায় অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। গোয়েন্দার জালে আটকের পর বেরিয়ে এসেছে তার প্রতারণার অভিনব কৌশল।
রাইসুল আলম, বাংলাদেশ রেলওয়েতে চতুর্থ শ্রেণির একটি পদে কাজ করেন লালমনিরহাট জেলায়। ছেলের খালাসি পদে চাকরির জন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে ৬ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। পাশাপশি আরো ২৩ জনকে খালাসি ও সিলম্যান পদে নিয়োগের জন্য জোগাড় করেন। এই ২৪ জনের কাছ থেকে মোট এক কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তুলে দেন মোনায়েম খান নামে এক ব্যক্তির কাছে।
ভুক্তভোগী রাইসুল আলম বলেন, ওই লোক আমাদের হাতে কাগজ দিয়ে বলেছে আপনার ২৩ জনের চাকরি হয়েছে। ওই চিঠিতে সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে।
টাঙ্গাইলের আনারকলিও একই কায়দায় প্রতারিত হন। আর সেনাবাহিতে চাকরি পেতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হন গাড়িচালক আলম।
ভুক্তভোগীদের এমন অসংখ্য অভিযোগের পর মোনায়েম খান এবং তার আরেক সহয়োগী পলককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, রেলওয়েতে চাকরির নামে নিজেই ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করতেন মোনায়েম। একই কাজ করতেন সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ সুপার জনাব, সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, ২০১৬ সালে রেলের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। সে প্রতারণার ফাঁদটা তৈরি করে। তখন দেখল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নামগুলো আসতেছে না। তখন নিজেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেন।
তার দেওয়া তথ্য এবং ভুক্তভোগীদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।