ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তুলসীগঙ্গা খালটি সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যত্রতত্র গাছপালা ও ঝোপঝাড়ের কারণে অধিক বৃষ্টিপাত হলে বা বর্ষা মৌসুমে পানি দ্রুত ওই খালে নামতে পারতো না। ফলে জমিতে থাকা কৃষকদের কষ্টের ফসল একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যেতো। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের মাঝ খান দিয়ে প্রবাহিত ছোট তুলসীগঙ্গা খালের সাড়ে ৬ কিলোমিটার পুনঃখনন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে উভয় পাড়ের কৃষকদের ফসল রক্ষায় এখন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপেক্ষে জয়পুরহাট বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তুলসীগঙ্গা খালটি পুন:খননের কাজটি সম্পন্ন করে। ফলে চলতি মৌসুমে বর্ষার পানি দ্রুত খালে নেমে যাচ্ছে। এতে করে জমিতে থাকা স্থানিয় কৃষকদের স্বপ্নের ফসলের আর ক্ষতি হচ্ছে না। রামপুরা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত , হামিদুল বলেন, বর্ষার পানি আগে খালের পাশের জমিতে ১৫/২০ দিন ধরে আটকে থাকতো। এতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল নষ্ট হতো। খালটি পুন:খনন করার এবার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে না। স্থানীয় কলন্দপুর মাদ্রাসার শিক্ষক খালের পাশের জমির মালিক সাইদুজ্জামান বলেন, খাল খননের আগে বর্ষার সময় জলাবদ্ধার কারণে তেমন ফসলই হতো না। খালটি খনন করায় এবার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে।
জয়পুরহাট বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশিদ বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার তুলসীঙ্গা খালটি পুনঃখনন করা হয়েছে। দুপাড়ের নতুন মাটি যেন ভেঙ্গে না পড়ে সে জন্য উভয় পাড়ে বিভিন্ন প্রকারের ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস