ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : পারিবারিক সূত্রে জানা যায় সৈয়দ আশরাফ হোসেন ৩ মে ২০০৮ সালে মারা যান। তাকে বাউফল উপজেলার ধুলিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এক সময় তাঁর বাড়ি থেকে তেঁতুলিয়া নদীর দূরত্ব ২-৩ কিলোমিটার থাকলেও বর্তমানে বাড়িটি এই নদী থেকে কয়েক গজ দূরে রয়েছে। প্রমত্তা তেঁতুলিয়া যে ভাবে ভেঙ্গে চলছে তাতে সৈয়দ আশরাফের বাড়ি ও কবরস্থান আর অল্প দিনের মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ।এই বিষয়টি আমলে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৮/০৮/২০২০ ইং তারিখে ৭১২ কোটি ২১লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেন। বঙ্গবন্ধুর সহ যোদ্ধা , ভাষা সৈনিক, মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক, ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি ন্যায়পরায়ণ,নীতিবান মরহুম সৈয়দ আশরাফ হোসেনের কবরস্থান তেঁতুলীয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্পটি পাস করায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আ স ম ফিরোজ এমপিকে অভিনন্দন জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দ রিপন বলেন আমার চাচা সৈয়দ আশরাফের এই পৃথিবীর শেষ ঠিকানা কবরস্থান টুকু রক্ষার জন্য আমাদের ডাকে যারা সাড়া দিয়েছেন তাদের ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি এবং মানবতার ‘মা’ দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাচিনাকে হাজারো সালাম ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
উল্লেখ্য, এই তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে গত ৫০ বছরে কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি, জনপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছ। তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন।