ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : চুরির অভিযোগ পাওয়া যায় নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকড় গড়া ইউনিয়নের বড়বাট্রা রাতরা গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল এর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়
বেশ কিছুদিন পূর্বে জারিয়া মুক্তি ফার্মেসির মালিক হাজী মোঃ আব্দুল খান জানজাইল বাজারে খাবা মেশিনারিজে মেশিন ক্রয় করতে যান। এসময় তার সাথে মজিবর মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া দোকানে যায় এক পর্যায়ে উজ্জ্বল মিয়া অভিনব কায়দায় ক্রেতা ও দোকানদারের সাথে কথা বলতে লাগল।
তারপর, আব্দুল খান ১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটা মেশিন ক্রয় করলেন এবং পরবর্তীতে আব্দুল খান স্বর্ণের দোকানে গেলে পিছু পিছু উজ্জ্বল মিয়াও সেখানে উপস্থিত হলো। আব্দুল খান একটা চেইন ক্রয় করলেন ২৮ হাজার টাকা দিয়ে। চেইনের বক্সটা ছিলো একটু ভাঙ্গা তাই দোকানদার বলল আমি পাল্টে দিচ্ছি আমার দোকানে নেই অন্য দোকান থেকে এনে দিতে হবে একটু দেরি হবে। তখনি আব্দুল খান ২৮ হাজার টাকা গননা করে দিয়ে বললো আমি ১০ মিনিট পড়ে এসে চেইনটি নিয়ে যাব। কিছুক্ষণ পরে উজ্জ্বল স্বর্ণের দোকানে গিয়ে মিথ্যে বলতে লাগলো আমি আর আমার চাচা আব্দুল খান আপনার দোকান থেকে একটা চেইন ক্রয় করেছিলাম এখন চেইনটি নিতে পারবো না, টাকাটা ফেরত দিন
উজ্জ্বলের কথা বিশ্বাস করে তিনি ২৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিলো এই টাকা নিয়ে উজ্জ্বল চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে আব্দুল খান চেইন আনতে যান, তখন দোকানদার বলল আপনার সাথে লোকটা চেইন রেখে টাকা টাকা ফেরত নিয়ে গেল। তিনি এই কথা শুনে চমকে গেলেন আর বললেন উনাকে তো আমি চিনি না আমার চেইনের টাকা আমাকে দিতে হবে নয়তো চেইনটি দিতে হবে এই নিয়ে দোকানদার ও ক্রেতার মধ্যে তুমুল ঝগড়া সৃষ্টি হল।
লোকজন এ কথা শুনে অবাক হয়ে গেল এ ঘটনায় আব্দুল খানের ক্রয় করা চেইন বা টাকা কোনটাই ফেরত পেলেন না। পরদিন আব্দুল খানের ছোট ছেলে জানজাইল বাজারে মেশিনারিজ ও স্বর্ণের দোকানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেন।
সিসিটিভি ফুটেজে উজ্জ্বল চোর কে খুঁজে পাওয়া গেল। কিছু দিন পর আরেকটা চুরি করতে গিয়ে জারিয়া বাজারে ধরা পড়ল। উজ্জ্বলকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে নিয়ে জানজাইল বাজার কমিটির সভাপতি ও উজ্জ্বলের চাচা শহীদ আর্মি সহ লোকজন নিয়ে ইলিয়াসের দোকানে সালিশে বসেন। উজ্জ্বল কোন চোর না যে ছবি আপনি দিয়েছেন সেটাও উজ্জ্বলের ছবি না এই বলে শহীদ আর্মি বিষয়টা এড়িয়ে দেন। কিন্তু আব্দুল খানের ছেলে বিষয়টা মানতে রাজি না, তাই তিনি পরের দিন উজ্জ্বল এর গ্রামের বাড়ি রাতরা গ্রামে যায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এলাকার লোকজন সরাসরি বলে দিলেন এটা তো মজিবরের ছেলে উজ্জ্বল, এ ঘটনা শুনে এলাকাবাসী বললেন উজ্জ্বল এই নিয়ে আরো ৪-৫ টি ঘটনা ঘটিয়েছে।
এই কথা শুনে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলের চাচা ও বাজার কমিটি কে যানায় এলাকার সকলেই বলছে যে চুরিটা উজ্জ্বলেই করেছে।
তখন শহীদ আর্মি ও পুকুরিয়ার মেম্বার দুজনে মিলে আব্দুল খানের ছেলের হাতে চুরি করে নেওয়া ২৮ হাজার টাকা তুলে দিলেন আর বললেন এ ঘটনা কাউকে বল না আমার ভাতিজা ভুল করে ফেলছে।
এই ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, মোঃ শাহেনুর জানান আমরা বিষয়টা জানি এ ঘটনার পর থেকেই উজ্জ্বল পলাতক আছে এবং খুব তাড়াতাড়ি তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
“মেহেদী হাসান সংবাদদাতা নেত্রকোনা”