রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ৪:০২

দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায়।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দেলোয়ার ফরাজী (৬৫) নামে এক বাবা তার ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আর এই ঘটনা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। বাবাকে নির্যাতনকারী ওই ছেলের নাম ফিরোজ ফরাজী (৩৫)।
এই ঘটনায় শুক্রবার (১৮ জুন) অভিযান চালিয়ে আলমাছ ফরাজী ও আজমল ফরাজী নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নিজ সন্তানদের হাতে এক বৃদ্ধ বাবা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি ভিডিও দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই বৃদ্ধের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে প্রধান অভিযুক্ত ফিরোজ ফরাজী এখনও পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের এআইজি জনাব, মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একজন সচেতন নাগরিক বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি লিংক শেয়ার করেন।
লিংকে যুক্ত ভিডিওতে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ বাবাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে তারই ছেলে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়। ভিডিওটি হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, দেওয়ান জগলুল হাসানকে ভিডিওটি পাঠানো হয় এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ি থেকে বাবাকে টেনে হিঁচড়ে জবরদস্তি করে রাস্তায় উঠাচ্ছেন তারই ছেলে। হাত ধরে করছেন টানা হেঁচড়া। পিঠ ও ঘাড় ধরে একের পর এক ধাক্কা দিতেই থাকে। গায়ের গেঞ্জিটাও টানতে টানতে ছিঁড়ে ফেলে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন ছেলে এবং এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই পিতা।
নির্যাতনের শিকার দেলোয়ার ফরাজী বলেন, হারুনের ঘরে অনেক বছর ধরে আমি থাকি। জমির ঝামেলায় আমার অন্য ছেলেরা তা পছন্দ করে না। তারা আমাকে ভরণ পোষণও দেয় না। ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে ঝামেলা করে। ওই দিন ফিরোজ আমাকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য অনেক মেরেছে। হাত-পায়ে শরীরে এখনো দাগ আছে।
তিনি বলেন, আরেক ছেলে আজমলও খারাইয়া থাইক্কা কয়- হালারপো হালারে পিডা। পোলার (ছেলে) বউ নাজমা ডাক দিয়ে কয় পরিষদে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি জনাব, দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইনে থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফিরোজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।