ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : প্রেমের ফাঁদে ফেলে পদ্মা সেতুর জশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে এসে দুই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে আর এই ঘটনা মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ। মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে লৌহজং যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের উত্তর যশলদিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে অমায়িক (২৩), একই গ্রামের মৃত রহিম শেখের ছেলে রনি শেখ (২৪), শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাদবরকান্দির চাঁন মিয়া শেখের ছেলে জীবন শেখ (২৫), শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামের মো. মাসুদ আলী শেখের ছেলে আদনান (১৯), মৃত শাকিব হোসেনের ছেলে কাইফি মীর (২২) ও মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামের আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে রবিন (২৬)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির দুই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় আদনান ও রিফাত নামে দুই ছেলের সঙ্গে। কিছুদিন পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রেমিকদ্বয় ওই কিশোরী দুজনকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে নিয়ে আসেন। ঘাটে ঘুরানো শেষে গভীর রাতে যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্জন একটি ঘরে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় তাদের।
এরপর বুধবার সকালে দুই কিশোরী কেরানীগঞ্জে তাদের বাসায় চলে যান। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানায়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লৌহজং থানা পুলিশকে জানালে গত বুধবার রাতভর অভিযানে চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনার বিবরণ পেয়ে বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ছয় যুবককে আটক করি। এ বিষয়ে লৌহজং থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত সোহেল (২৪) পলাতক রয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে আরো জানান তিনি।