মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১০:০৩

আজ চালু হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ প্রায় ৫৫ বছর পর।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : আজ (১৭ ডিসেম্বর) পুনরায় চালু হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দীর্ঘ ৫৫ বছর পর। এই রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ রেলপথ দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন হতে ৩২টি পণ্যবাহী বগি নিয়ে ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশনের উদ্দেশে একটি ট্রেন প্রথম রওনা হবে। ইতিমধ্যে ট্রেন চলাচলের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে পুরোনো যে রেললাইনটি ছিল, সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচলে খুশির আমেজ বইছে চিলাহাটিসহ গোটা জেলায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলপথ মন্ত্রী জনাব, নুরুল ইসলাম সুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে তোরণ, গেট ও ব্যানার টাঙিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সব শ্রেনীপেশার মানুষ।
রেলওয়ে সূত্রমতে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন।
২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। পরে পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপ লাইনসহ ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, হলদিবাড়ি থেকে হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন করেছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলপথটি চালু করতে বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী জনাব, মো: নূরুল ইসলাম সুজন।
একসময় ভারতের শিয়ালদহ, রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে এই পথে আগে ‘দার্জিলিং মেইল’ নামে একটা ট্রেন চলত। সেটারই আদলে এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হচ্ছে।