ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : রিকশাচালক থেকে আকবর গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। এই গায়কের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ আজীবন ফ্রি করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে গান গেয়ে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পান আকবর আলী গাজী। বিএসএমএমইউ তিনি সারাজীবন বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাবেন। এই কণ্ঠশিল্পী তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি পোস্টে লেখেন. ‘আজ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন সবসময় উনাকে সুস্থ রাখে এবং নেক হায়াত দান করেন। কারণ আমি উনার প্রতি খু–উ—–উ—ব বেশি কৃতজ্ঞ। উনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী আমাদের আছে বলেই আমরা এখনও বাঁচার স্বপ্ন দেখি। আমি নাম না জানা একজন মানুষ। তারপরও গতবার আমি যখন অসুস্থ হয়েছিলাম তখন উনি আমাকে খুব বড় একটা সাহায্য করেছিলেন।আর এবার যখন অসুস্থ হয়ে উনার দারস্থ হয়েছিলাম তখন উনি আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে আগের সঞ্চয়পত্রটা স্থির রেখে নতুনভাবে চিকিৎসা করার জন্য দুই লক্ষ টাকার চেক এবং সারাজীবন পিজি হসপিটালে আমার চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছেন। এমন প্রধানমন্ত্রী পেয়ে সত্যিই আমরা ধন্য। আল্লাহ তুমি এই জনদরদি মানুষটাকে খুব ভালো রেখ। আমিন। গণমাধ্যমকে আকবর বলেন, ‘আমার স্যার (হানিফ সংকেত) প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর উনি আমার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্যারের কথা শুনেছেন। তিনি আমার জন্য আরও দুই লাখ টাকার চেক বরাদ্দ করেন এবং পিজি (বিএসএমএমইউ হাসপাতাল) আজীবন ফ্রি করে দিয়েছেন। আমি আমার স্যার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’
আকবর জানান, ৯ সেপ্টেম্বর চেক ও কাগজপত্র ইস্যু হয়েছে, তারা গ্রহণ করেছেন ২০ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া আগামী ১ অক্টোবর ভারতে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়া রয়েছে।
আকবর বলেন, ‘আমি ডিপজল ভাই ও জায়েদ ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। যখন যা লাগে ১০ হাজার ২০ হাজার ডিপজল ভাই পাঠিয়ে দিয়েছে। ভারতে চিকিৎসার খরচ বহন করবেন। ডিপজল ভাইয়ের আগ্রহেই ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। ওখান থেকে ফিরে এলে ফের একটা অ্যাপয়েনমেন্টের ডেট দেবে। আপনাদের দোয়ায় আশা করি, সুস্থ হয়ে উঠব।
ডায়াবেটিস ও কিডনিরোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী আকবরকে গত ঈদের পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় আসেন। এখন মিরপুর ১৩ নম্বরে বাসাতেই অবস্থান করছেন এই কণ্ঠশিল্পী।