ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপাজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের।অস্ত্রোপচারের ১১ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন ভালো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, যখন প্রথম তাকে নিয়ে আসা হয় তখন ব্যান্ডেজ করা ছিল, অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর দেখা যায় মাথায় মোট নয়টা আঘাতের চিহ্ন। একটা খুব বড়, যার ভেতর দিয়ে হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। বাকি আটটা ইনজুর ছিল। তার ভেতরে ছিল মাথার দুই পাশে তিনটা করে ছয়টি, মুখের উপরে একটা, নাকের উপরে একটা এবং চোখের নিচে একটা। তিনি বলেন, ভেতরে ঢুকে যাওয়া হাড় বের করা হয়েছে, রক্তরক্ষণ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য আঘাতগুলোও সব রিপেয়ার করা হয়েছে । আমার আশাবাদী, তবে এটা হেড ইনজুরি, ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণের ব্যাপার। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন কিনা এখনই আমরা বলতে পারবো না। অন্তততাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ রাখার পর বলতে পারবো। তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা প্রশ্নে ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, এখনই শঙ্কামুক্ত কথাটা আমরা বলবো না। আগে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ তার মাথায় আঘাত লেগেছে, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ডান পাশ প্যারালাইজড ছিল সেটা আশা করি সচল হয়ে যাবে। তবে তাতে সময় লাগবে। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ঘোরাঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তার ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের শরীরে ও মাথায় হাতুড়ি কিংবা ভারী কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথমে তাদের রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ঢাকায় আনা হয়। তার বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন।