ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : একটি ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। খুলনায় এক মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বনি আমিন শিকদার (২০), রাহিম শেখ (২১), রাজু শিকদার (২০) ও নূহু শেখ (৩৫)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতের খাবার খেয়ে রূপসা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মোস্তাকিন শিকদারের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র মুছা শিকদার (১৬) বাড়ির পাশে তাদের মুদি দোকানে ঘুমাতে যায়। পরের দিন সকালে মুস্তাকিন শিকদার দোকানে গিয়ে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী আঠারোবেকী নদী থেকে তার ভাসমান লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাবা মুস্তাকিন শিকদার ২৭ সেটেম্বর বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, রাজু শিকদার ও নূহু শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি উক্ত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা সংস্থায় হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী ওই বছরের ৩০ মে বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, রাজু শিকদার, নূহু শেখ এবং অপর দু’জন জসিম শিকদার ও সিরাজ শিকদারকে আভিযুক্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামি বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, রাজু শিকদার ও নূহু শেখ স্বীকারোক্তিতে জানান, মুদি দোকানে বাকি খাওয়া ও গুলতি নিয়ে বনি আমিন শিকদারের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই আলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার পর নিহত মাদ্রাসাছাত্র মুছা শিকদারের বাবা মোস্তাকিন শিকদার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিদের ফাঁসির রায় হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। আমি অবিলম্বে এই রায়ের আদেশ কার্যকর চাই।