শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৩৬

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি করতো অর্থ মন্ত্রণালয়। আর এ কাজটি ম্যানুয়ালি হওয়ায় অর্থবছর শেষেও বেতন-ভাতা বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দের চাপ বাড়তো। এত দিন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা এর অধীনস্ত সংস্থা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ চাইতো। এতে বাজেটের অর্থ বরাদ্দ দিতে বেগ পেতে হতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এ বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে বেতন-ভাতাদির বাজেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতাও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার। এ জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এর অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রোববার মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ চিঠিতে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও তাদের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানে কোন পদে কত জন জনবল আছে, কার বেতন কত, কতজন পেনশনভোগী রয়েছে– এসব জনাতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এসব তথ্য অর্থ বিভাগে জানাতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করার জন্য আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর হতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির বাজেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন কার্যক্রম সহজতর ও অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে বর্তমানে ‌‘অনলাইন পে-ফিক্সেশন’ ডাটাবেজ হতে নতুন বাজেট ও হিসাবরক্ষণ শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি অনুযায়ী রি-ডিজাইনকৃত আইবাস প্লাস-এর ডাটাবেজে সব কর্মচারীর তথ্য স্থানান্তরের কার্যক্রম চলমান আছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন-ভাতা বাবদ্দ রাখা হয়েছে রয়েছে ৬৮ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সব প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য দিলে সে তথ্য আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। তারপর যে অফিসার যে গ্রেডের তার সে অনুযায়ী সুযোগ-সবিধা সরকার নির্ধারণ করে রেখেছে, সেটা অটোমেটিক আমরা ক্যালকুলেট করতে পারব। এতে করে বছর শেষে বেতন-ভাতা বাবদ অতিরিক্ত কোনো বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়ার সুযোগও থাকবে না। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে পাঠায় তাহলে তাদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ অটো ক্যালকুলেশন হয়ে যাবে। আমরাতো জানি কে কে কোন গ্রেডের অফিসার। এতে করে আগামী বাজেটে আর তাদের তথ্যের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নে অনেক স্বচ্ছতা আসবে। এ জন্যই আমরা সব অফিসের কাছে তথ্য চেয়েছি।