ডেইলি ক্রাইম বার্তা : ব্রিজ না থাকায় দুই ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের সাঁকো, আর যেটির অবস্থান নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ৬ নং পূর্বধলা ইউনিয়ন ও ৯ নং খলিসাপুর ইউনিয়নের সিন্ধুর আটিয়া-শিমুলকান্দী গ্রামের মগড়া নদীর উপর।
এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি পূর্ণ নদী পার হতে হয় গ্রামবাসীদের। পারাপারের সময় প্রায়ই নদীতে পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে হেঁটে পারাপার সম্ভব হলেও যানবাহন চলাচল করা একেবারেই কঠিন।
ব্রিজ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা বানিজ্য সহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। নদীর দু পাড়ে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। ফলে জরুরি অনেক সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই এলাকার বাসিন্দারা এবং ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মগড়া নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন ৬নং পূর্বধলা ও ৯নং খলিসাপুর এই দুই ইউনিয়নের সিন্ধুর আটিয়া, শালদিঘা, কৃষ্টপুর, নারায়ন ডোর, হুক্কা কান্দা, জালালপুর, শিমুলকান্দি ইসুলীয়া সহ প্রায় ১০ টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন পারাপার হয় এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও নির্মাণ হয়নি এখানে একটি ব্রিজ।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজ-খবর রাখেনা। আমরা অনেক দিন ধরে মগড়া নদীর উপর একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু আমদের স্বপ্ন আজ পর্যন্ত বাস্তবে পরিনত হল না।
এক শিক্ষার্থী বলেন, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে ভয় করে তারপরও যেতে হয়। বাঁশের সাঁকোটি খুব ঝূঁকিপূর্ণ। নদীতে বেশি পানি থাকলে আমাদের স্কুলে যেতে অনেক ভয় করে।
তাই সরকারের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকার সকলে দাবী জানান।
“মেহেদী হাসান সংবাদদাতা নেত্রকোনা”