বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৩:২০

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত পলাতক পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় সম্পূর্ণ কার্যকর করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার পরেই এ প্রচেষ্টার পরিসমাপ্তি ঘটবে। আাইনমন্ত্রী ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, খুনি নূর চৌধুরী কানাডায় পলাতক রয়েছেন। তিনি কানাডা সরকারকে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আর কানাডা সরকারের আইন রয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে এমন কোনো পলাতক আসামিকে তারা ফেরত দেয় না। একটি আবেদনের ভিত্তিতে নূর চৌধুরী সেখানে বসবাস করছেন। তিনি কী আবেদন করেছেন এবং কী কারণে কানাডা সরকার তাকে সেখানে থাকতে দিয়েছে, সেসব কাগজপত্র চেয়ে কানাডা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রাইভেসি অ্যাক্টের কারণে কানাডা সরকার সেসব কাগজপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন আমরা আইনজীবী নিয়োগ করে সে দেশের আদালতে আবেদন করি। সে দেশের আদালত বলেছে, এসব কাগজপত্র দেয়া যাবে। এখন আমরা সে অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি। আরেক খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছেন। সে ব্যাপারে আমরা এখন যে পরিস্থিতি সেটা অবজার্ভ করছি এবং এর অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা করছি। আর বাকি তিন পলাতক আসামির অবস্থানের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নয়। তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। আমরা মনে করি, এ প্রচেষ্টায় আমরা এক দিন সাফল্য লাভ করব,যোগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০০৯ সালে। এর মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারিতে কার্যকর হয়। বাকি সাতজনের মধ্যে ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি আজিজ পাশা। এছাড়া গত ১২ এপ্রিল রাতে আরেক খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বর্তমানে পলাতক থাকা পাঁচ খুনি হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এমবি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।