ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসামণিকে (১০) নৌকায় গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় ওরা তিনজন। ঘটনার পঁয়ত্রিশ দিন পর গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি। রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে ওই তিন আসামি জবানবন্দি দেন। আসামিরা হলেন- বন্দরের খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রাকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল (৩২)। গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের এল এন রোড এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিসামণি। ঘটনার এক মাস পর ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দেওভোগ এলাকার এল এন রোডের বাসিন্দা। মামলায় মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে আব্দুল্লাহ যোগাযোগ করত। সে তাকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিত। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই। আসামিরা আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে ডেকে আনার পর তাকে নৌকায় শীতলক্ষ্যায় ঘুরতে নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণের পর নৌকায় মাঝি ও দুজন মিলে তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে গুম করে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পরেই আমরা দ্রুত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করি। পরে মাঝিকেও গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খোঁজ করেও ভিকটিম বা তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।