বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সকাল ৮:১০

মানব পাচারকারী চক্রের ৬ জন আটক।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ইতালিতে পাঠানো এবং লিবিয়ায় নিজেদের বিভিন্ন কোম্পানীতে অধিক বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড ও বাংলাদেশের ভিসার শর্তভঙ্গের দায়ে লিবিয়ার এক নাগরিক এবং তার সহযোগী সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয় লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদ ওমর ফিরোজকে (৪৫)। পল্টন এলাকা থেকে আটক হন সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল গোফরান (৬০), ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিজানুর রহমান (৩৪), ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম (৪২), হিসাবরক্ষক মহিন উদ্দিন (৩১) এবং ম্যান পাওয়ার এজেন্ট মো. সোহেল (২৪)। র‌্যাব-৩ এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। র‌্যাব-৩-এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক জানান, র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদ ওমর ফিরোজ টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। বিধি বহির্ভূতভাবে ইনভেস্টর (ডিআই)/ইমপ্লয়মেন্ট (ই)/ওয়ার্ক পারমিট গ্রহণ ব্যতিরেকে ঢাকার সুফি ইন্টারন্যাশনাল লি. নামক রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসায় দীর্ঘদিন যাবত জড়িত আছেন। তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদকে ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয়। ফারজানা হক আরও জানান, সামির আহমেদ বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের চার লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ পাঠানো হবে, বিশেষত ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। লিবিয়ায় তাদের নিজেদের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রতি বছর বহুসংখক নিয়োগ ও অধিক বেতন দেওয়া হয় বলেও ব্যাপক প্রচারণা চালান। বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাতে প্ররোচিত করে আসছিলেন সামির আহমেদ। বুধবার পল্টন এলাকা থেকে লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বাংলাদেশের সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান এএসপি ফারজানা হক।