শুক্রবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, রাত ৩:২২

আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকিতে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঈদে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ি ফেরার প্রেক্ষাপটে সারাদেশ আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকিতে পড়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন। খবর বিবিসি বাংলার। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, ঈদকে কেন্দ্র করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে তারা নিরুপায়। ফলে এখন সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি মাথায় রেখে ঈদের পর পরই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই সড়ক এবং নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। ঈদের আগের দিনে মানুষের স্রোত দেখা যায় বাসটার্মিনাল, লঞ্চ এবং ফেরীঘাটগুলোতে। ঢাকার সাথে উত্তরের জেলাগুলোর যোগাযোগের সহাসড়কে টাঙ্গাইল জেলায় কয়েক কিলোলোমিটার জুড়ে যানজটে মানুষকে ভোগান্তিও পোহাতে হয়। দক্ষিণাঞ্চলমুখী সব লঞ্চে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের খবর পাওয়া যায়। স্বাভাবিক সময়ে ঈদে বাড়ি ফেরার যে দৃশ্য থাকে, এখন মহামারির মধ্যেও পথে পথে অনেকটা একই চেহারা নেয়। একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট গেছেন। তিনি বলছিলেন, রাস্তায় মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই নেই।
“আমি আজকে গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত এসেছি। রাস্তাঘাটে দেখলাম, ৫০ শতাংশ মাস্ক পরেছে, আর বাকিটা পরেনি। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যে গাড়িগুলো আসছে, সেগুলোতে যে স্বাস্থ্যবিধির কথা আমরা বলি, সেটি মানা হচ্ছে না। মানুষ মনে করছে, এটা তেমন কিছু এখন হবে না। ভাল হয়ে গেছে।”
ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম-এই চারটি নগরীতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। সেজন্য এই শহরগুলো থেকে ঈদে অন্য এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত বৃহস্পতিবার ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা এবং সারাদেশে কোরবানির পশুর হাটের কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো: খুরশিদ আলম বলেছেন, ঘরমুখো মানুষের স্রোত ঠেকানো কঠিন।
“শুধুমাত্র মাস্কটাও যদি আমরা ঠিকমত ব্যবহার করতে পারি, সেটাও আমাদের অনেকখানি কাজ দেবে।