বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সকাল ১১:১৪

ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : পারিবারিক কলহে নাটোর সদরের হালসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একই সময়ে পাশের ঘরে তার মাও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরের হালসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য তিন সন্তানের জনক খোরশেদ আলম অনেক দিন আগেই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টিও ফাঁস হয়ে যায়। এতে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছে।
অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বড় মেয়ে মুন্নী বাবার দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় নিজের ভবিষ্যৎ, বিয়ে, পরিবারের আর্থিক টানাপড়েন নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। এসব নিয়ে কয়েকদিন থেকে পরিবারটিতে ঝগড়া ঝাটি চলছিল।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে এসব ঘটনার জের ধরে একই সময়ে নিজ বাড়ির আলাদা ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মা ও মেয়ে ঘরের আরার সঙ্গে ফাঁস দেন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে উভয়কে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়ে মুন্নীকে (২২) মৃত ঘোষণা করেন। মা জাহেদা বেগমকে (৩৬) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার আগের দিনও জাহেদা বেগম ঘুমের অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নাটোর থানার ওসি মনসুর রহমান বলেছেন, কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আপাতত এ ঘটনায় নাটোর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।