ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : পূর্ব শত্রুতার জের ও জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে খাদিজা বেগম (৪০) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
ঘটনাস্থলের সূত্রে জানা যায়, ঐ শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিপক্ষের তিনজন লোক বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে বলে, ২০ লাখ টাকা দিবি তারপর ঘর থেকে বের হবি। আজকে টাকা না দিলে তোদের ঘর থেকে বের হতে দেব না। এই বলে তারা শিক্ষিকাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন চিৎকার চেচামেচি করে বলে, এই জমি আমরা কিনেছি, এখন থেকে এই জমির মালিক আমরা।
স্কুল শিক্ষিকা খাদিজা বেগম উপায়ান্ত না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে বাউফল থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকসহ অনেক লোকজন জড়ো হয়। পরে পুলিশ দু’পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিষয় শোনার পরে তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে বিকালে থানায় যেতে বলে। তবে, খাদিজা বেগম তার কাগজ পত্র নিয়ে থানায় গেলেও প্রতিপক্ষের লোকজন থানায় উপস্থিত হয়নি।
শিক্ষিকা খাদিজা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই বসতবাড়ির জমি দীর্ঘ ২৩ বছর আগে কিনেছি। আমার স্বামী গেল ৮ মাস আগে রোগক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আমি নিঃস্বন্তান। আমার কোন সন্তান নেই। এর আগেও তারা কয়েকবার ঝামেলা করেছে। আমি বাউফল থানায় ও পটুয়াখালী আদালতে অভিযোগও করেছি। পটুয়াখালী আদালতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা এখনও চলমান আছে। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল স্যারকেও এ বিষয়ে জানিয়েছি। তবে আমাকে বিনা কারণে কেন তালাবদ্ধ করে চাঁদা দাবি করেছে সেই বিষয়ে আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয় বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জনাব, আল-মামুনের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকের বলেন, খাদিজা বেগম নামের এক শিক্ষিকাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে এমনই তথ্য ৯৯৯-এর মাধ্যমে জানতে পেরে তৎক্ষাণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঐ শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা হয়।
“এম.সাইদুর রহমান সংবাদদাতা বাউফল”