ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দুই দিনব্যাপী বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে পটুয়াখালীর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। আর এই আয়োজন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ৮ ই ডিসেম্বর পটুয়াখালী পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে। উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পটুয়াখালীর সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর ঝাউবন চত্বরে এই বিজয় উৎসব উদযাপন হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরম’র সভাপতি প্রফেসর এম. নুরুল ইসলাম, ইত্যাদি বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর মোঃ বশির সরকার,সুন্দরম নাট্যমঞ্চের নীনা আফরিন,বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার তরিকুল ইসলাম রুবেল,সুরবিহার সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের রুমা রানী দে,গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সঞ্চিতা দাম,পটুয়া খেলাঘর আসরের সুজয় চক্রবর্তী,সাগরকন্যা শিল্পী গোষ্ঠীর মোঃ আবুল বাসার,গ্রামীণ শিল্পী গোষ্ঠীর আঃ লতিফ,মোঃ নজরুল ইসলাম, কে এম হালিম, কার্তিক চন্দ্র নাগ,পায়রা নাট্য শিল্পী গোষ্ঠীর আমিনুল হক মাসুম,পটুয়াখালী আবৃত্তি মঞ্চের স্বপ্নীল দাস, সুন্দরম চিলড্রেনস থিয়েটারের মৃদুল চক্রবর্তী,সুন্দরম চিলড্রেনস থিয়েটারের মিজানুর রহমান অপু,পায়রা নাট্য শিল্পী গোষ্ঠীর শৈলেন দাস,আলাউদ্দিন আহমেদ,মরিচবুনিয়া বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর মনোয়ার হোসেন,মুক্তপ্রাঙ্গন এর তোফায়েল আহমেদ,সুরবিহার সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের ননী গোপাল দাস,অনন্ত সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনন্ত প্রত্যয় বাদল প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রথম এত বৃহৎ পরিসরে পটুয়াখালী পাক হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। দুই দিনব্যাপী এই বিজয় উৎসব উদযাপনে পটুয়াখালীর সকল সাংস্কৃতিক কর্মী সংগঠকদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য বলে জানিয়েছেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। তিনি আরও জানান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বৃহৎ পরিসরে পটুয়াখালী পাক হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা করেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮ ডিসেম্বর বিকেলে পটুয়াখালী শহর সংলগ্ন লাউকাঠী নদীতে বিশাল নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সার্কিট হাউজের দক্ষিণ পাশের মুক্তমঞ্চে পটুয়াখালীর ২২ টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এ যৌথ প্রয়াস বলে জানান তিনি।
“মিজানুর রহমান অপু সংবাদদাতা পটুয়াখালী”