বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ভোর ৫:২০

এক নবজাতককে নদীর চরে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : বিকলাঙ্গ নবজাতককে নদীর চরে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে ওই নবজাতকের নানা সন্দীপ সরকারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়নের গোনারাকাটি ব্রীজের তলায় বেতনা নদীর চরে এক নবজাতক শিশুর কান্না শুনতে পায় স্থানীয় মুসুল্লিরা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ওই নবজাতককে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে কয়েকঘন্টা পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই নবজাতক।
এদিকে ওই নবজাতকের মৃত্যুর পর স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা ওই নবজাতকের বাবা-মায়ের সন্ধান শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ওই নবজাতকের বাবা-মায়ের সন্ধানও পান তারা। এরপরই বেরিয়ে আসে ওই নবজাতককে হত্যার আসল রহস্য।
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানান, সোমবার(১২ জুলাই) ভোরে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের মিলনময় মন্ডলের স্ত্রী দিপিকা মন্ডলের সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয় বুধহাটা বাজারের জনসেবা ক্লিনিকে।
সিজারিয়ান অপারেশনের আগেই আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় ওই নবজাতকের বিকলঙ্গতা ধরা পড়লে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপারেশনের পর মায়ের অগোচরে ওই নবজাতককে নিয়ে গুনাকরকাটি ব্রীজের উপর থেকে চরে ছুড়ে ফেলে দেয় নানা সন্দীপ সরকার।
সন্দীপ সরকার আশাশুনির পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ক্লিনিকের মালিক ডাঃ শাহিনুর রহমান বলেন, আল্ট্রাসনো রিপোর্টে বাচ্চা বিকলঙ্গ বলে জেনেছিলাম। জেনেবুঝেই সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়। সিজারের পর বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তাকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে না নিয়ে বাচ্চাটিকে মেরে ফেলানো হয়েছে এমন ঘটনা আমরা জানিনা।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জনাব, গোলাম কবির বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনের আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় ওই বাচ্চার বিকলঙ্গতা ধরা পড়ে। বাচ্চা বিকলঙ্গ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বাচ্চার বাবা মিলনময় মন্ডল ক্ষেপে যায় এবং ওই বাচ্চা বেঁচে থাকলে তার স্ত্রী দিপিকা মন্ডলকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ঘটনার পর মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে বাচ্চার নানা সন্দীপ সরকার মেয়ের অগোচরে বাচ্চাকে নদীর চরে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
তিনি বলেন, ওই বাচ্চাকে হত্যার ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।