বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১২:১০

শূন্যের কোঠায় সরকার মাদকাসক্তি নামিয়ে আনতে কাজ করছে : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : এসডিজি’র লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং দেশে মাদকাসক্তি পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাদকের ছোবল থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের ছোবল থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে আমরা নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার গত অর্থবছরে ৯১টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে অনুদান প্রদানের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। সরকারি অর্থায়নে ৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র ও স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং দেশে মাদকাসক্তি পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যুবঋণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের আইটি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে, ফলে কর্মসংস্থান বাড়ছে। একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, এতে ১ কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পাচার অনেক কমে এসেছে এবং আরও কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মাদকের চাহিদা হ্রাসের লক্ষ্যে মাদক নিরোধ শিক্ষা, মাদক বিরোধী জনসচেতনতার বিকাশ, সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ, সামাজিক আন্দোলন এবং মাদক বিরোধী বিভিন্ন প্রকার প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাদক সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, শিক্ষক, সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দ, পিতা-মাতা, সুশীল সমাজ, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।