ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : কঠোর লকডাউন দেয়া ৭টি জেলার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব, মো. মিজানুর রহমান সোমবার (২১ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিআইডব্লিউটিএ জানায়, মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন দেয়া জেলাগুলোর মধ্যে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে দেশের যেকোনো স্থান হতে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌযান পথিমধ্যে এসব জেলার লঞ্চঘাটে ভিড়তেও পারবে না।
পরে রাতে বিআইডব্লিউটিএ-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনের মধ্যে লঞ্চ চলাচল সংক্রান্ত নির্দেশনায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৭টি জেলার লঞ্চ যোগাযোগসহ ঢাকা থেকে সারাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব, খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না।
শুধু মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।
দেশের মধ্যাঞ্চলের এই সাতটি জেলা হল- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে মানিকগঞ্জ কিংবা নারায়ণগঞ্জ কিংবা মুন্সীগঞ্জ কিংবা গাজীপুর হয়েই আসতে হয়।
পরে রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দূরপাল্লার সব বাস চালানো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকার ঢাকা বিভাগের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই সাত জেলার ওপর দিয়েই দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। যেহেতু লকডাউন তাই গাড়ি যেতে পারবে না। এজন্য আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকবে।
এদিকে যে সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর যেখানে ট্রেন স্টেশন আছে সেখানে ট্রেনও থামবে না। এ বিষয়ে রাতে রেলমন্ত্রী জনাব, নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, মূলত গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন থামতে হয়, সেসব স্টেশনে থামবে না। যেসব জেলায় রেলস্টেশন আছে এবং লকডাউন করা হয়েছে সেসব স্টেশনেও থামবে না।