ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল রাজধানীর পুরান ঢাকায় দালাল নির্মূলে অভিযান চালিয়ে ০৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং ২ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন (র্যাব-১০) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তারা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অভিযানে হাসপাতালের ভেতরে ও চত্বরে থাকা ২৩ দালালকে আটক করে।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা সাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব, মো. আক্তারুজ্জামান।
সোমবার দিবাগত রাতে (র্যাব-১০) এই বিষয়টি নিশ্চিত করে মিডিয়াকে বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সব ধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (র্যাব-১০) এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতলে আগত রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি সহ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার নামে তাদের ব্যক্তিগত লাভের আশায় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে দালাল চক্রের ০৯ সদস্যের ১। মোঃ মানিক (৪০)কে ০১ মাস, ২। মোঃ বেলাল হোসেইন (৩০)কে ০১ মাস, ৩। মো। সাইফুল (২৬)কে ২০ দিন, ৪। মোঃ হাসান (৩১)কে ১৫ দিন, ৫। মো। সুজন (৩২)কে ০১ মাস, ৬। ময়নাকে ০৭ দিন, ৭। সাথীকে ০৭ দিন, ৮। রোকসানাকে ০৭ দিন ও ৯। মর্জিনাকে ০৭ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন। মিটফোর্ড হাসপাতালের ০২ স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু দালালরা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতলে আগত রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার নামে তাদের ব্যক্তিগত লাভের আশায় বিভিন্ন অনুন্নত প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে প্রতারনার স্বীকার করে বলে জানা যায়।