শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ৪:২৮

কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি রাতের জোয়ারে তলিয়ে গেছে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : তলিয়ে গেছে রাতের জোয়ারে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার কয়েকটি নিচু এলাকা। বিশেষ করে ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চর পাতিলা ও কচুয়াখালী চরের কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৫ মে) ভোর রাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জোয়ারের চাপে ঢালচর এলাকার ৫০টি দোকান ও মাছের আড়তসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো দ্বীপচরটি ৫ ফুট পানির নিচে ডুবে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার পরেও জোয়ার অব্যাহত ছিলো।
পানির নিচে রয়েছে রাস্তাঘাট, ঘর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ঝড়ের কারণে অনেকে মূল ভু-খণ্ডে আশ্রয় নিলেও অনেকেই রয়েছেন দ্বীপে। তাদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার মানুষ স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ভবন, কোস্ট অফিস ও ফরেস্ট অফিসের ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও রাত ৯টার দিকে ঢালচর থেকে অর্ধশতাধিক মানুষকে কচ্ছপিয়া ঘাটে নিরাপদে আনা হয়। দু’টি মাছ ধরার ট্রলারে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা জনাব, মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পানিবন্দি থাকা উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের একটি টিম ঢালচর থেকে ট্রলারে করে তাদের কচ্ছপিয়া ঘাটে পৌঁছে দিয়েছে। তারা রাতেই আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান করছেন। উপকূলীয় অন্যান্য এলাকার জনগণকেও নিরাপদে আনার এ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।