ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : গুলি করা হয়েছে প্রতিপক্ষ ছোট ভাইকে শিক্ষা দিতে কারণ সে প্রেমের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আর এই ঘটনা মানিকগঞ্জের। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পিস্তল তৈরি করেছেন তৌফিকুর রহমান সীমান্ত (২৪) নামে এক যুবক। পরে শনিবার রাতে নিজের তৈরি পিস্তল দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের এলজিইডি অফিসের পাশে প্রতিপক্ষ এহিয়া হোসেন মির্জা ওরফে নূর মোহাম্মদকে(১৬) গুলি করেন সীমান্ত। গুলিবিদ্ধ এহিয়া হোসেন মির্জাকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব, ভাস্কর সাহা জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা এলাকায় মাসুদুর রহমানের ছেলে তৌফিকুর রহমান সীমান্ত ছবি আঁকা, ইন্টেরিয়র ডিজাইনসহ বহু সৃষ্টিশীল কাজ করেন। তিনি ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়েকে পছন্দ করেন। কিন্তু ওই মেয়ের সঙ্গে এহিয়া হোসেন মির্জা ওরফে নূর মোহাম্মদের সম্পর্ক হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এহিয়াকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সীমান্ত। পরে ইউটিউব ঘেঁটে সবচেয়ে কম খরচে কম পরিশ্রমে কীভাবে পিস্তল বানানো যায় তা রপ্ত করেন। পরে বানিয়ে ফেলেন বারুদ আর সীসার বুলেটের পিস্তল।
পুলিশ সুপার বলেন, ওই পিস্তল নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এলজিইডি অফিসের পাশে এহিয়ার বাসার সামনে এসে নিজের তৈরি পিস্তল দিয়ে তাকে গুলি করেন সীমান্ত। গুলিটি এহিয়ার গলায় বিদ্ধ হয়। পরে তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে রাতেই বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা নবগ্রামের নানাবাড়ি থেকে সীমান্তকে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সীমান্ত পুলিশের কাছে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় আহত এহিয়ার মা নূরজাহান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও অস্ত্র আইনে সদর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সীমান্তের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করছেন। রোববার দুপুরে সীমান্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।