সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪৬

একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইফতারির সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে আর এই ঘটনা সুনামগঞ্জে। শুক্রবার (৮ মে) দিবাগত-রাতে উপজেলার বোগলা বাজার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন মিয়াসহ আরও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বোগলা বাজার ইউনিয়নে সুরুজ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া একই ইউনিয়নের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর ফুফাতো ভাই ফয়সালের (১২) মাধ্যমে নেশার ওষুধ মেশানো ইফতারি তাদের বাড়িতে পাঠায়। নেশা মেশানো ইফতারি খাওয়ার পর মেয়ে এবং দাদা অজ্ঞান হয়ে গেলে মধ্যরাতে এসে রিপন তাকে ধর্ষণ করেন। ভোরে ঘুম ভাঙলে ওই শিক্ষার্থীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী সব খুলে বলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত রিপনসহ তার ফুফাতো ভাই এবং নেশা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত জামা কাপড়সহ ইফতার সামগ্রী একটি ছুরি উদ্ধার করে।
ভিকটিমকে উদ্ধার করে দোয়ারা বাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। এতিম মেয়েটি একমাত্র বৃদ্ধ দাদার আশ্রয়ে থাকে। বাড়িতে তার বৃদ্ধ দাদা ছাড়া পরিবারে আর কেউ নেই।
স্থানীয়রা বলেন, অভিযুক্ত রিপন এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। এসব অপকর্মের কারণে কিছুদিন পরপর সে জেল খেটে ফের এলাকায় ফিরে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
দোয়ারা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) জনাব, মনিরুজ্জামান বলেন, রিপনসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। নেশা বিক্রেতা জসিম দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে জড়িত। সে অজ্ঞান পার্টির বড়ো ধরনের হোতা। এলাকায় শিশুদের দিয়ে নেশার ওষুধ বিক্রি করে এবং চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত সে।
দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রিপনকে ধরা হয়েছে। তার সহযোগী এবং নেশা বিক্রেতাকেও আটক করা হয়েছে। রিপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা প্রক্রিয়াধীন।