ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : ২০ ঘণ্টা পরে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় মঙ্গলবার (৪ মে) বিকালে অপরহণের খাদিজা নামের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ আর এই ঘটনা বরগুনায়। অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম (২৪) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। খাদিজা তালতলীর বগীর হাট পি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়রনত। তার বাবা মজিবর মুসুল্লী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী।
বরগুনার সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের লতাকাটা গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় খাদিজাকে অপহরণ করে দৃর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে অপরহরণকারীরা শিক্ষার্থীর স্বজনদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ২০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার শিক্ষার্থীর গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত বসতঘরের মধ্য থেকে পুলিশ হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্হায় খাদিজাকে উদ্বার করে।
শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া বেগম জানান, সোমবার শেষ বিকেলে খাদিজা বাড়ি সামনে দাঁড়ানো ছিল। সন্ধ্যার পর ঘরে না ফেরায় মেয়েকে খুঁজতে শুরু করেণ তিনি। এসময় মেয়েকে না পেয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেন তিনি। রাতভর খুঁজেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর থানায় বিষয়টি জানান।
খাদিজার বড় ভাই রাজিব বলেন, সকাল ৯টার দিকে একটি নম্বর থেকে আমার মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়, বোন খাদিজাকে অপরহরণ করা হয়েছে এবং তাকে মুক্ত করতে হলে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে খাদিজাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপরহরণকারীরা।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটি সুস্থ হলে তার কাছ থেকে অপহরণকারীদের ব্যাপারে তথ্য জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।