ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : তাসলিমা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সোহেল মিয়ার (৩২) ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আর এই ঘটনা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তাসলিমা উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে। সোহেল মিয়া ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরপুবাইল গ্রামের অলিম উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত বছর সোহেল মিয়ার সাথে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে তাসলিমার বাড়িতে খবর পাঠানো হয় তাসলিমা খুব অসুস্থ্য। দ্রুত পরিবারের লোকজন না গেলে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাবে না। ওই অবস্থায় রাতেই পারিবারের লোকজন মেয়ের বাড়িতে যায় কিন্তু তাসলিমার লাশ তাদেরকে পুরোপুরি দেখতে দিচ্ছিল না এবং প্রচার চালানো হয় স্ট্রোক করে মারা গেছে তাসলিমা।
এর মধ্যে শুক্রবার সকাল ১১ টায় জানাজার সময় নির্ধারণ করে সকল প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু ওই সময় নিহতের স্বজনরা তাসলিমার গলায় দাগের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তখন কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে লাশ রেখে সরে পড়েন শ্বাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ভীড় শুরু করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার বেলা ১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় নিহতের শ্বাশুড়ি নুরুন্নাহারকে।
নিহতের ভাই মুস্তাকীম মিয়া বলেন, আমার বোনকে দুই লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল সোহেল। গত ৪ দিন আগেও তার বাড়িতে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোনকে মেরে স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে জানায়। লাশ ভালোভাবে দেখতেও দেওয়া হয়নি। কিন্তু লাশ ধোয়ানোর আগে তারা গলায় দাগ দেখতে পায়।
নিহতের মা বিলকিছ আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ইচ্ছা কইরা আমার মা রে মাইরা ফালছে। লাশ লইয়া নাটক করছে। আমার মাইয়া হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূকে শ্বাসরুধে হত্যা করতে পারে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।