ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : জানা যায়, ওই ধর্ষিতা ছাত্রীর মা কয়েক বছর আগে দুটি সন্তান রেখে বাপের বাড়ি চলে যায় এবং ছাত্রীর বাবা নারায়ণগঞ্জে কাঁচামালের ব্যবসা করেন এবং তখন চাঁদপুরের বাড়িতে একা পেয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে, আর এই অভিযোগে জাকির হোসেন বেপারী (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাড়ি খালি থাকায় জাকির হোসেন ওই ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে পরিবারকে জানায়। পরে তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক জাকির হোসেন ৪০ হাজার টাকায় ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ আছে। ওই ছাত্রীর বাবা এতে রাজি না হওয়ায় তার বড় ভাই বাদশাও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, বাড়িতে একা পেয়ে মেয়েকে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনা ধর্ষণকারী জাকির টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করে প্রস্তাবে রাজি না হলে তার ভাই বাদশা এসে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। আমরা এই ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।
এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করে ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন। থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ নির্যাতিত ধর্ষিতা কিশোরীর চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে গাইনি বিভাগে নিয়ে যান।
কর্তব্যরত ডাক্তার কিশোরীর মেডিকেল চেকআপ করেছেন এবং ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন। চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ধর্ষণকারী জাকির হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য লম্পট জাকিরের ভাই বাদশা থানায় এসে মামলার বাদীকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসিম উদ্দিন জানান, চতুর্থ শ্রেণীর মেয়ে বয়স আনুমানিক ১২-১৩ বছর। ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সে থানায় আসে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে আসামিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।