ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : অপচিকিৎসা’য় মারা যাওয়া প্রসূতি শরিফা আক্তার (২২) ও তাঁর নবজাতকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ, আর এই ঘটনা নেত্রকোনার বারহাট্টায়। আদালতের আদেশে বারহাট্টার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরীর উপস্থিতিতে রবিবার দুপুরের দিকে দুটি লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) জনাব, সাইদুর রহমান, বারহাট্টা থানার ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক, সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিম উদ্দিন তালুকদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মৃত শরিফা আক্তার চন্দ্রপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী হাইছ উদ্দিনের মেয়ে। গত বছর সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার লামাগাঁও গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মো. মহসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে তিনি বাবার বাড়িতে আসেন। গত বুধবার দুপুরের দিকে সন্তান প্রসবকালে তাঁর মৃত্যু হয়। একই সময়ে তাঁর নবজাতকও মারা যায়। তাঁদের মরদেহ চন্দ্রপুর গ্রামে দাফন করা হয়। অভিযোগ ওঠে, আবুল কাসেম নামের এক প্রাণী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় ওই দুটি প্রাণ ঝরে যায়।
এ ব্যাপারে স্বামী ও নবজাতকের বাবা মহসিন মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আবুল কাশেমকে (৬২) আসামি করে বারহাট্টা থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ওই প্রসূতি ও নবজাতকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেন।
বারহাট্টা থানার ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য আদালতের নির্দেশে শরিফা ও তার নবজাতকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি আবুল কাসেমকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“মেহেদী হাসান সংবাদদাতা নেত্রকোনা”