ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : র্যাবের অভিযান হয়েছে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনার জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন রংধনু আবাসিক এলাকায় মায়ের আর্শীবাদ নামের তিনতলা ভবনের সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। বেবী মন্ডলের মালিকাধীন লাইসেন্সবিহীন এই ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মেয়াদউত্তীর্ন ওষুধও জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের-৬ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব, গালিব পাশার নেতৃত্বে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাবরিয়া রহমান স্নিগ্ধাও ছিলেন। এই ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। দীর্ঘদিন যাবত সাইন বোর্ডে খুলনার স্বনামধন্য চিকিৎসকদের নাম ব্যবহার করে ক্লিনিকটিতে অপারেশন করছেন বেবী মন্ডলের স্বামী পি কে মন্ডল। তারও চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর কোন সনদ নেই বলে জানিয়েছে র্যাব-৬।
জেলা সিভিল সার্জন ও র্যাব-৬ সূত্রে জানা গেছে। গোপন খবরের ভিত্তিতে এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব, গালিব পাশার নেতৃত্বে অভিযান চালায় র্যাব-৬। সাথে ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাবরিনা রহমান স্নিগ্ধা।
তিনি বলেন, সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন অনুমোদন (লাইসেন্স) নেই। তারা ২০১২ সাল থেকে ক্লিনিকটি পরিচালনা করছে। ক্লিনিকটিতে অন্তত ২৪জন স্বনামধন্য চিকিৎসকের নাম সাইনবোর্ডে ব্যবহার করা হয়েছে, যারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। চিকিৎসাশাস্ত্রের বৈধ ডিগ্রি না থাকা স্বত্তেও পি.কে মন্ডল নামের এই ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিতেন, শুধু তাই নয়- তিনি মেজর অপারেশনও করতেন।
ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে কয়েকজন নারী ও শিশু মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এ ক্লিনিকটিতে কোন নার্স, ওয়ার্ডবয় বা টেকনিক্যাল হ্যান্ডস্ নেই। এমনকি অন্য কোন চিকিৎসকও আসতেন না এখানে। তাই দ্রুত ক্লিনিক খালি করার নির্দেশ দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানে মেয়াদউত্তীর্ন ওষুধ, অবৈধ নবজাতক বিক্রির স্ট্যাম্প ও অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেশকিছু সরমঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে, অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে বেবী মন্ডল ও তার স্বামী পিকে মন্ডলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে র্যাব-৬।