বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, সকাল ৮:০৬

মহাসড়কের বেহাল দশা চরম দুর্ভোগে দুর্গাপুরের মানুষ।

ডেইলি ক্রাইম বার্তা : ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা, ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের সাধারণ জনগণকে।
এই ভোগান্তি এক দিনের নয়, বছরের পর বছর
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষ জেলা শহর-বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।
এই ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত।
এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে।
অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুঁইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে।
ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগীয় শহরে অপরপথে আসতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
তাছাড়াও সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদেরও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারোটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন বলেন, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুশকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শ মিটার আরসিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও বলেন, সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।
“মেহেদী হাসান সংবাদদাতা নেত্রকোনা”