ডেইলি ক্রাইম বার্তা ডেস্ক : একাধিকবার ধর্ষণের এই ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্ত রুবেল খলিফা (২৮) এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী রাশিদা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং এই ঘটনা বরগুনার আমতলীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীর, তাকে ফুসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, রবিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির কিশোরী কন্যাকে প্রতিবেশী রাশিদা বেগম ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ঘরে একই ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামের সেরাজ উদ্দিন খলিফার পুত্র রুবেল খলিফা প্রবেশ করেন। রাশিদা বেগম ঘর থেকে বের হলে রুবেল ওই কিশোরীকে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ভূক্তভোগী তার দাদাকে জানায়। এর পূর্বেও প্রতিবেশী রাশিদা বেগমের সহায়তায় ওই ভিকটিম শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রুবেল খলিফা একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে ওই কিশোরী জানায়।
এ ঘটনায় রবিবার রাতেই রুবেল খলিফা ও সহায়তাকারী প্রতিবেশী রাশিদা বেগমকে আসামি করে ভিকটিমের দাদা আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এসআই মো. শহিদুল আলম অভিযান চালিয়ে রুবেল খলিফা ও সহায়তাকারী রাশিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন। দুপুরে আসামিদের উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. শাকিব হোসেন তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।